স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আসামি ধরতে গেলে পুলিশের উপর হামলা চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে ও মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় আইয়ুব নুর ভুঁইয়া-(৫৫) সহ ১৩ জন আহত হয় । আহতদের মধ্যে আইয়ুব নুর ভুঁইয়াকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মারা যান। এ ঘটনায় বাকী ১২ জন আহতদের মধ্যে ১০ পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ৩ টায় বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের গাবন্নীমুড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। আহতরা হলেন- একই এলাকার আকাশ ভুইয়ার স্ত্রী সালমা বেগম-(৩০) ও ইমন ভুঁইয়া-(১১), পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সায়েদুল, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেলিম, এএসআই আবদুল্লাহ আল মামুন ও কনস্টেবল তুষারসহ ১২ জন। এদের মধ্যে সালমা ও ইমনকে গুরুতর আহতাবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন ও পুলিশের এএসআই আবদুল্লাহ আল মামুন ও কনস্টেবল তুষারকে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকী পুলিশ সদস্যরা স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আদমপুর গ্রামের আইয়ুব নূরের পরিবারের প্রায় সবাই মাদক ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে আইয়ুব নূরের নামে পাঁচটি, তার দুই ছেলে আরিফ নূরের নামে পাঁচটি, তোফাজ্জলের নামে ১০টি পুলিশের ওপর হামলা ও মাদক মামলা আছে। আরিফ নূরের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে এসআই সাঈদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আরিফকে গ্রেফতার করতে যায়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে পুলিশকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে। দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ পুলিশের ওপর হামলা করে হ্যান্ডকাফসহ আরিফকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আইয়ুব নূর, সালমা বেগম ও ইমন নামের এক কিশোর। আহতদের ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আইয়ুব নূর। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply